যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ট্রাম্পের নির্দেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলা

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ট্রাম্পের নির্দেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলা
আন্দোলন প্রতিবেদন
রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | অনলাইন সংস্করণ
গত ২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি জায়নবাদী সরকার। এই হামলার মাধ্যমে আরো একবার উন্মোচিত হলো বিশ্বব্যাপী তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’-এর সবক দেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের ফ্যাসিবাদী চরিত্র। ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত করে গাজা দখলের প্রস্তাব করেছিল। তাতে সমর্থন না পাবার পর ফ্যাসিস্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত হামলা চলছে। বিশ্বব্যাপী এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। এমনকি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১০০০ সদস্য যুন্ধ বন্ধের আরজি জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
ইতিহাসের বর্বরোচিত এসব হামলায় বিগত সময়ে মারা গেছেন ৫০ হাজারের উপর ফিলিস্তিনি নাগরিক। আহত ও পঙ্গু অগণিত। এসব হামলার পর ‘ইসলাম’-এর ধ্বজাধারী দেশগুলো কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মুসলিম দেশগুলো কর্তৃক ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার সম্মিলিত চাপ না দিয়ে গাজায় অবকাঠামো নির্মাণের ফান্ড গঠন ও পুনর্গঠনের এনজিও-বাদী প্রস্তাব স্পষ্টতই ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে পণ্য সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে। এভাবে এক চরম মানবিক পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি জনগণ খেতে না পেয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছেন। সেখানে পানি পর্যন্ত দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। জ্বালানিও নেই। ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা নিয়ে আরব বিশ্বের কোনো পরিকল্পনা নেই। যুদ্ধ বন্ধ এবং জনগণের খাবারের ব্যবস্থা না করে অবকাঠামো নির্মাণের কথা যে আরব বিশ্বের দেশগুলোর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু নীতির প্রকাশ তা আরও স্পষ্ট হলো।
ইসরাইল শুধু গাজায় নয়, পশ্চিম তীরেও হামলা চালিয়েছে। অনেক শহরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। এভাবে ইসরায়েল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে নেমেছে।
চীন-রাশিয়া-ইইউসহ সকল সাম্রাজ্যবাদীরা এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘ ঠুঁটো জগন্নাথ– উঁ, আঁ করছে মাত্র। তাই ফিলিস্তিনি জনগণকে মার্কিনসহ সকল সাম্রাজ্যবাদ, দখলদার ইসরায়েলি জায়নবাদী শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে দীর্ঘস্থায়ী বিপ্লবী যুদ্ধ গড়ে তুলতে হবে। এদের উচ্ছেদ করে সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত, স্বাধীন, ধর্মনিরপেক্ষ, অখণ্ড ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যায় যুদ্ধকে ন্যায় যুদ্ধ দিয়ে উচ্ছেদ করতে হবে। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণের ফিলিস্তিনের জনগণের উপর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের সরকারকে কার্যকরী প্রতিবাদে বাধ্য করতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
–১২ এপ্রিল, ২০২৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ট্রাম্পের নির্দেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলা
গত ২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি জায়নবাদী সরকার। এই হামলার মাধ্যমে আরো একবার উন্মোচিত হলো বিশ্বব্যাপী তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’-এর সবক দেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের ফ্যাসিবাদী চরিত্র। ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত করে গাজা দখলের প্রস্তাব করেছিল। তাতে সমর্থন না পাবার পর ফ্যাসিস্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত হামলা চলছে। বিশ্বব্যাপী এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। এমনকি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১০০০ সদস্য যুন্ধ বন্ধের আরজি জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
ইতিহাসের বর্বরোচিত এসব হামলায় বিগত সময়ে মারা গেছেন ৫০ হাজারের উপর ফিলিস্তিনি নাগরিক। আহত ও পঙ্গু অগণিত। এসব হামলার পর ‘ইসলাম’-এর ধ্বজাধারী দেশগুলো কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মুসলিম দেশগুলো কর্তৃক ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার সম্মিলিত চাপ না দিয়ে গাজায় অবকাঠামো নির্মাণের ফান্ড গঠন ও পুনর্গঠনের এনজিও-বাদী প্রস্তাব স্পষ্টতই ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে পণ্য সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে। এভাবে এক চরম মানবিক পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি জনগণ খেতে না পেয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছেন। সেখানে পানি পর্যন্ত দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। জ্বালানিও নেই। ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা নিয়ে আরব বিশ্বের কোনো পরিকল্পনা নেই। যুদ্ধ বন্ধ এবং জনগণের খাবারের ব্যবস্থা না করে অবকাঠামো নির্মাণের কথা যে আরব বিশ্বের দেশগুলোর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু নীতির প্রকাশ তা আরও স্পষ্ট হলো।
ইসরাইল শুধু গাজায় নয়, পশ্চিম তীরেও হামলা চালিয়েছে। অনেক শহরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। এভাবে ইসরায়েল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে নেমেছে।
চীন-রাশিয়া-ইইউসহ সকল সাম্রাজ্যবাদীরা এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘ ঠুঁটো জগন্নাথ– উঁ, আঁ করছে মাত্র। তাই ফিলিস্তিনি জনগণকে মার্কিনসহ সকল সাম্রাজ্যবাদ, দখলদার ইসরায়েলি জায়নবাদী শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে দীর্ঘস্থায়ী বিপ্লবী যুদ্ধ গড়ে তুলতে হবে। এদের উচ্ছেদ করে সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত, স্বাধীন, ধর্মনিরপেক্ষ, অখণ্ড ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যায় যুদ্ধকে ন্যায় যুদ্ধ দিয়ে উচ্ছেদ করতে হবে। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণের ফিলিস্তিনের জনগণের উপর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের সরকারকে কার্যকরী প্রতিবাদে বাধ্য করতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
–১২ এপ্রিল, ২০২৫
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র